রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪৩ পূর্বাহ্ন
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল বাশেলেতের সুইজারল্যান্ডের জেনেভার সংবাদ সম্মেলনের বক্তব্য নিয়ে বাংলাদেশি গণমাধ্যমে ভুল তথ্য প্রচার হয়েছে বলে হাইকমিশনারের অফিস জানিয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) বাংলাদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমকে পাঠানো এক বার্তায় বিষয়টি জানিয়েছেন মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের মুখপাত্র রভিনা শ্যামদাসানি।
তিনি বলেন, আমরা দুঃখের সঙ্গে বলছি যে, ভুল তথ্য প্রচার করা হয়েছে।
রভিনা শ্যামদাসানি বলেন, আপনারা নিশ্চয়ই অবগত আছেন যে; হাইকমিশনার বাংলাদেশ সরকার, সুশীল সমাজ ও সংশ্লিষ্ট অন্যদের সঙ্গে বৈঠকে মানবাধিকারসংক্রান্ত অনেক বিষয় নিয়ে তার উদ্বেগ তুলে ধরেছেন। ঢাকা সফর শেষে তার দেওয়া বিবৃতিতেও এ বিষয় উঠে এসেছে। হাইকমিশনার বাংলাদেশের মানবাধিকার সংক্রান্ত বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তৃতভাবে কথা বলায় ২৫ আগস্ট মেয়াদপূর্তি উপলক্ষে জেনেভায় দেওয়া বিবৃতিতে তিনি বৈশ্বিক বিষয়গুলোর ওপর আলোকপাত করেন। সেখানে জলবায়ু পরিবর্তন, খাবার, জ্বালানি তেল ও অর্থনৈতিক সংকট, সুশীল সমাজের কথা বলার অধিকারের মতো বিষয়গুলো ছিল। এসব বিষয় সব দেশেই রয়েছে, যার মধ্যে বাংলাদেশও অন্তর্ভুক্ত। সেখানে রোহিঙ্গাদের দুর্দশার বিষয়টি উঠে আসে, ওই দিনই ছিল রোহিঙ্গাদের ওপর দমন-পীড়নের বছরপূর্তি। তা মানবাধিকার নিয়ে ‘বৈশ্বিক প্রতিবেদন’ ছিল না।
বাংলাদেশ সফর শেষে ঢাকায় দেওয়া বক্তব্যে বাশেলেত বলেছিলেন, মানবাধিকার সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জগুলো অতিক্রম করার প্রথম ধাপই হলো সেগুলো স্বীকার করে নেওয়া। হাইকমিশনার যেসব সুপারিশ করেছেন, সে অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য ঢাকাকে সহায়তা করতে প্রস্তুত রয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক দপ্তর। বাংলাদেশে মানবাধিকার রক্ষা ও তা এগিয়ে নিতেও তারা সহায়তার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
এদিকে, বাংলাদেশে গুম হওয়া যে ৭৬ জনের তালিকা জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদ (ইউএনএইচআরসি) থেকে দেওয়া হয়েছে, তাদের মধ্যে ১০ জনকে খুঁজে পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি আরও বলেন, জাতিসংঘ যে ৭৬ জনের তালিকা দিয়েছে সেই তালিকায় ২০-২৫ বছর আগে গুম হওয়া ব্যক্তিরও নাম রয়েছে। আমরা যখন সরকারে ছিলাম না সেই সময়ের নামও রয়েছে। সেখানে কল্পনা চাকমার (১৯৯৬ সালে অপহৃত) নামও রয়েছে।
শাহরিয়ার আলম বলেন, ওই তালিকার ৭৬ জনের মধ্যে ১০ জনের খোঁজ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ২৮ জন দাগি আসামিও রয়েছেন। তারা বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে থাকতে পারেন। আবার এর মধ্যে একটি মেয়ের নাম ছিল, যার মা অভিযোগ করেছিলেন, তিনি গুম হয়েছেন। পরে দেখা গেল মেয়েটি পালিয়ে বিয়ে করেছেন। শাপলা চত্বরে হেফাজতের আন্দোলনের সময় নিখোঁজ হওয়া এমন ১০-১২ জনও পরে (ফিরে) এসেছে।
সম্প্রতি ঢাকা সফর করে যাওয়া জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেট গুম হওয়া ব্যক্তিদের বিষয়ে কোনও বিশেষ সংস্থা গঠনের দাবি জানাননি বলে উল্লেখ করেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, এ ক্ষেত্রে একটি মেকানিজমের কথা বলেছেন তিনি।